ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এতে সভাপতি পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ২১৮ ভোট এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার ১৪২ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা যায়, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে অনুষদ ভবনের ৪২৭নং কক্ষে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং ২টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে রাত ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪০৪ জন। এর মধ্য ৩৫১জন ভোট প্রদান করেন। ১টি ব্যালট বাতিল হয়েছে এবং পদ অনুযায়ী কিছু ভোট বাতিল হয়েছে। ৫৩ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।
আওয়ামীপন্থী শিক্ষক প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ (১৭৩ ভোট), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ (১৯৭), কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল-মাসুদ (১৭০) নির্বাচিত হয়েছেন।
সদস্য পদে প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন (১৫০), প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন(১৪৯), প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা (১৯৬), প্রফেসর ড. বাকী বিল্লাহ (১৮৩), প্রফেসর ড. মহব্বত হোসেন (১৮২), সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন(২০৭), এম এম নাসিমুজ্জামান (১৫২), সাজ্জাদুর রহমান টিটু (২০০), ফিরোজ আল-মামুন (১৫৯) ও সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম (১৬৬) নির্বাচিত হয়েছেন।
শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন একটি ঐতিহ্যবাহী নির্বাচন। এখানে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট যে কোন নায্য দাবি আদায়ে সবসময় কাজ করে যাব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, সকলের সহযোগিতায় সু্ষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে কোন প্রকার অভিযোগ আসেনি এবং নির্বাচন নিয়ে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে জন্য তিনটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এবং একজন সাধারণ সম্পাদক পদে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।